বাহুবল (হবিগঞ্জ): হবিগঞ্জের বাহুবলের পল্লীতে বই মেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষন করায় কথিত প্রেমিক আল মামুনকে প্রধান আসামী করে ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী।

রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে বাহুবল মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। রাতেই আসামীর বাড়ি থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সা ও গেঞ্জি উদ্ধার করে থানা পুলিশ। তবে আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান থানার ওসি।

গত (২১ ফেব্রুয়ারী) বাহুবল বইমেলার শেষ দিনে এ ঘটনাটি ঘটে। অসহায় স্কুল ছাত্রীর পরিবার ধর্ষণকারীদের হুমকি আর ইজ্জ্বতের ভয়ে দামাচাপা দিতে চেয়েছিল। এদিকে ধর্ষিত স্কুল ছাত্রীর অবস্থার অবনতি ঘটলে শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) বিকালে বাহুবল হাসপাতাল পরে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সে পুটিজুরী এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

জানা যায়, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য সে স্কুল গেটে আসলে কথিত প্রেমিক আল মামুন তাকে বই মেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সিএনজিতে উঠায়। এসময় সিএনজি নিয়ে বই মেলায় না গিয়ে পুটিজুরী পুলিশ ফাঁড়ির রাস্তা দিয়ে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর সিএনজিতে উঠে মামুনের বন্ধু তোফায়েল ও শিপন। এসময় ঐ স্কুল ছাত্রী চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে মামুন ও তার বন্ধুরা স্কুল ছাত্রীর মুখ বন্ধ করে দেয়। পরে ঐ স্কুলছাত্রীকে বৃন্দাবন বাগানের পূর্ব পাশে জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে বাগান পাহারাদার সহ পালাক্রমে গনধর্ষন করে তারা।

ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী জানায়, ধর্ষণকারীরা হলেন যাদবপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে আল মামুন, তার বন্ধু বাঘেরকাল গ্রামের সালাম মিয়ার ছেলে তোফায়েল ও মামুনের আরেক বন্ধু সিকরা টিলা গ্রামের সালাউদ্দীনের ছেলে শিপন মিয়া, মামুনের বন্ধু তোফায়েলের বোন জামাই বাগান পাহারাদার ও সিএনজি চালক মোবাশ্বির।

বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাসুক আলী মামলার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতেই আসামী মোবাশ্বিরের বাড়ি থেকে ধর্ষনের কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সা ও গেঞ্জি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।